সার্বজনীন পেনশনে অনাস্থা, আট মাসে যুক্ত ৫৯ হাজার

Posted by on in অর্থনীতি 0
1st Image

গত বছর দেশে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে শুরু হয় বহুল আলোচিত অভিন্ন পেনশন স্কিম বা সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। যেখানে এর আওতাভুক্ত নাগরিকরা ৬০ বছর বয়স থেকে আমৃত্যু পেনশন সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। আগে কেবলমাত্র সরকারি চাকরিজীবীরাই পেনশন সুবিধা পেতেন। কিন্তু দেশের নাগরিক যারা সরকারি চাকরি করেন না বা অন্য পেশায় আছেন তারা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতো। ফলসরুপ এমন বয়স্ক জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তা দিতে ২০২৩ সালের আগস্ট মাসে চালু করা হয় এই সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। তবে গত ৮ মাসের উদ্যোগে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। সংশ্লিষ্টরা মতে, সঠিক তত্ত্বাবধানের অভাবে এখনো মানুষের মধ্যে তেমন সাড়া ফেলতে পারেনি সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। এই পেনশন ব্যবস্থায় জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী একজন ব্যাক্তি ৫০ বছর পর্যন্ত এই পেনশনের স্কিম অনুযায়ী চাঁদা দিয়ে আজীবন ভোগ করতে পারবেন এর সুবিধা। এমনকি ৫০ বছর বয়সেও যেকোনো বাংলাদেশি সর্বনিম্ন দশ বছর এই স্কিমে টাকা দিয়ে পূর্ণাঙ্গ সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। এরপরও দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে এই সার্বজনীন পেনশন নিয়ে নেই কোনো কৌতূহল। বেশির ভাগ মানুষই এই পেনশন ব্যবস্থা সম্পর্কে তেমন কিছুই জানেন না। এই স্কিমের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নাজমুল হাসান নামে একজন ব্যাংক কর্মকর্তা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এখন এমনিতেই মানুষের অবস্থা খারাপ। তাই তাদের যেটুকু সঞ্চয় আছে তা হাতছাড়া করতে চান না।’ তিনি আরও বলেন, ‘দেশে এত ব্যাংক রয়েছে কিন্তু মানুষ শুধু সেখানেই টাকা রাখেন যেখানে তার বিশ্বাস ও আস্থা রয়েছে। আর এই বিশ্বাস বা আস্থা আজ পর্যন্ত এই সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা অর্জন করতে পারেনি। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের (এনপিএ) সদস্য ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব গোলাম মোস্তফা জানান, সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা এই চারটি স্কিমের মাধ্যমে সরকারি তহবিলে গত আট মাসে মোট জমা হয়েছে ৪৪ কোটি ৭৯ লাক ১৫ হাজার টাকা। তিনি আরও জানান, মাঝখানে কিছুদিন ধীরগতি থাকলেও এখন মানুষের আগ্রহ ও অংশগ্রহণ দুটোই বৃদ্ধি পেয়েছে।