দুদকের ক্যাসিনো মামলার সেলিম প্রধান এবার উপজেলা ভোটে প্রার্থী
ক্যাসিনো–কাণ্ডে এর আগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন সেলিম প্রধান। এমনকি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় চার বছর সাজাও খেটেছেন তিনি এবং এরই সাথে আরও তিনটি মামলা বিচারাধীনে। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন আলোচিত সেলিম প্রধান।জানা যায়, এবার তিনি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। গত সোমবার (১৮ মার্চ) বিকালে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভিংরাবো এলাকায় একটি স্কুল পরিদর্শন শেষে এ ঘোষণাও দেন তিনি।
জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং পেপার্সের চেয়ারম্যান সেলিম প্রধান বলেন, রূপগঞ্জে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ভয়ে কেউ নির্বাচন করতে আসে না। তাই আমি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবো। আমি নির্বাচনে নামতে বাধ্য হচ্ছি কারণ আমি ওয়াদা করেছি রূপগঞ্জকে পরিষ্কার করে ছাড়বো। এখানে আমরা সবাই একটা পরিবার।
এদিকে উপজেলা পরিষদ আইন বলছে, কোনো নৈতিক স্খলনজনিত ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হয়ে দুই বছর কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে এবং মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হলে কোনো ব্যক্তি চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার এবং থাকবার যোগ্য হবেন না।
এ বিষয়ে সেলিম প্রধান বলেন, নির্বাচন করতে তাঁর আইনগত কোনো বাধা নেই কারণ দুদকের মামলায় আপিল ও সাজা স্থগিত করতে তিনি ইতিমধ্যে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। তিনি আরও বলেন, রূপগঞ্জবাসীকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্ত না করা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের তৈরি ফুল ও মালা আমার কাছে থাকবে। যদিওে এর আগে তার গুলশান, বনানীর বাসা ও অফিসে অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা ও হরিণের চামড়া জব্দ করা হয়। তারপর বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠান ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়াও তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ ও মামলা আছে বলে প্রশাসনের কাছ থেকে জানা যায়। এবিষয়ে নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার জানান, অতীতে সাজাপ্রাপ্ত হলেও আপিল করে তিনি নির্বাচন করতে পারতেন। কিন্তু হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী এখন মনে হয় না সেলিম প্রধান নির্বাচন করতে পারবেন। খালেদা জিয়াও এ কারণে নির্বাচন করতে পারেননি।