ইসরাইলি ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের, ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু
ফিলিস্তিনের পশ্চিমতীরে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) নেটজাহ ইয়েহুদা ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারই প্রথমবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এমন খবরে ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
অতীতে ব্যাটালিয়নটি ডানপন্থী চরমপন্থা ও ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সহিংসতার সঙ্গে যুক্ত ছিল বলে বিতর্ক রয়েছে। যেমন ২০২২ সালে ৭৮ বছর বয়সী ফিলিস্তিনি-আমেরিকান ওমর আসাদ ব্যাটালিয়নের সেনাদের হাতে আটক থাকা সময় হাতকড়া পরা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় মারা যান।
যদিও ২০২২ সালের ডিসেম্বরে ব্যাটালিয়নটিকে পশ্চিম তীরের বাইরে সরিয়ে নিয়েছিল ইসরায়েল। কিন্তু হামাসের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধে গাজা উপত্যকায়ও নতুন করে মোতায়েন করা হয়ে এটিকে। আইডিএফ ব্যাটালিয়ানটিকে অভিজাত হিসেবে অভিহিত করলেও বাইডেন প্রশাসন এই ইউনিটকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে।
শনিবার রাতে ক্ষুব্ধ নেতানিয়াহু এক্সে লিখেছেন, ‘আইডিএফ-এর এমন একটি ইউনিটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার উদ্দেশ্য অযৌক্তিক। নীতিগতভাবে নিচু কাজ।আমাদের নেতৃত্বে ইসরাইল সরকার এসব উদ্যোগের বিরুদ্ধে সব রকম ব্যবস্থা নেবে’।
একইভাবে ক্ষেপেছেন ইসরাইলের উগ্রপন্থি মন্ত্রীরা। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এক্সে লিখেছেন, আইডিএফের ব্যাটালিয়নের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি এক পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়। এর মধ্য দিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় ইসরাইলকে রাজি করাতে জোর প্রয়োগের একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমেরিকান সূত্রের বরাতে অ্যাক্সিওসের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ব্যাটালিয়নের কাছে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ থাকবে। পাশাপাশি এই ইউনিটের সেনাদের মার্কিন বাহিনীর সঙ্গে প্রশিক্ষণ বা মার্কিন অর্থায়নে যে কোনো কার্যক্রমে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।