বাঁশের চালে রান্না হচ্ছে ভাত, পায়েস ও খিচুড়ি

Posted by on in অন্যান্য 0

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামের কৃষক ছিমল রায়ের ছেলে সাঞ্জু রায় বাঁশের ফল থেকে দানাদার শস্য সংগ্রহ করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছেন। হুবহু ধানের মতো দেখতে বাঁশফলের দানা। সেই ফল সংগ্রহ করে ধুয়ে শুকিয়ে মাড়াই করার পর উৎপাদিত ‘চালে’ রান্না হচ্ছে ভাত, পায়েস ও খিচুড়ি। জানা যাচ্ছে, সেই শস্য থেকে উৎপাদিত চাল রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে।
বাঁশগাছের ধানসদৃশ দানাদার শস্য সংগ্রহ করছেন সাঞ্জু রায়
দিনমজুর সাঞ্জু পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক বৃদ্ধের কাছে জানতে পারেন বাঁশফলের বীজ থেকে ভাত রান্না করা যায়। পরে তিনি বাঁশফুলের বীজ সংগ্রহ করে তা পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকান। এরপর সেগুলো ধানের মিলে মাড়াই করে দেখেন উৎপাদিত চাল দিয়ে আসলেই ভাত রান্না করা যায়।
ময়লা পরিষ্কার করে সংগ্রহ করা হচ্ছে ‘বাঁশের ধান’
চালের বিকল্প হিসেবে বাঁশ ফুলের বীজ থেকে ভাত রান্না করে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন যুবক সাঞ্জু। গত এক সপ্তাহে প্রায় সাত মণ দানাদার শস্য সংগ্রহ করে তা হতে দুই মণ চাল পেয়েছেন তিনি। নিজে যেমন রান্না করে খেয়েছেন, তেমনি আশপাশের মানুষের কাছে বিক্রিও করেছেন প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। বাঁশের ফুল থেকে চালের মতো শস্য উৎপাদনের বিষয়টি এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনার সাক্ষী হতে দূরদূরান্ত থেকে নানা বয়সী মানুষ ছুটে আসছেন পাকাপান গ্রামে।
বাঁশ থেকে পাওয়া চাল
সরেজমিন সাঞ্জু রায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশের ঝাড় থেকে বাঁশের বীজ সংগ্রহ করছেন তিনি। তার মা বাঁশফুলগুলো কুলা দিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করছেন। আর সাঞ্জু রায় সেই বীজ পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকাচ্ছেন। এরপর সেগুলো ধানের হাসকিং মিলে ভাঙাবেন। এদিকে বাঁশঝাড়ের নিচে পড়ে থাকা ধানসদৃশ দানাদার শস্য হাতে নেড়ে দেখছেন মানুষ। কেউ মুখে দিয়ে পরখ করছেন। গ্রামের অনেকেই তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ চাল বদল করতে এসেছেন।