এই প্রথম নারীর দেহে শূকরের কিডনি বসালো চিকিৎসকেরা
জীবিত ব্যক্তির দেহে দ্বিতীয়বারের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শল্যচিকিৎসকরা সফলভাবে ‘জেনেটিকালি-মডিফাইড’ শূকরের কিডনি প্রতিস্থাপন করেছেন।
এর পূর্বে ২০২১ সালে একজন মস্তিষ্ক-মৃত ব্যক্তির উপর বিশ্বে প্রথম জিন-সম্পাদিত শূকর-থেকে-মানুষের কিডনি প্রতিস্থাপন করেছিলেন মন্টগোমারি। তার মন্তব্য অনুযায়ী, 'সময় যত এগোবে আর কাউকে মরতে হবে না, অঙ্গ পেতে অন্য কারও জন্য অপেক্ষা করতে হবে না। '
সেই ধারা অনুসারে এপ্রিল মাসে লিসা পিসানোর(৫৪) দেহে নিউইয়র্কের এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথে গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয়। হাসপাতাল জানায়, পশু থেকে মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপনের ক্ষেত্রে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে বলেই তারা এতে আগ্রহি হন।
তাছাড়াও ডাক্তারের তথ্য মতে, তার হাতে মাত্র কয়েক সপ্তাহ সময় ছিলো। সার্জনরা অঙ্গ প্রতিস্থাপনের কয়েক দিন আগে পিসানোর দেহে একটি যান্ত্রিক হার্ট পাম্প স্থাপন করা হয়, এর আগে জিনগতভাবে পরিবর্তিত শূকরের হার্ট ২০২৩ সালে মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই রোগীর মধ্যে প্রতিস্থাপন করা হলেও এনওয়াইইউ ল্যাঙ্গোন হেলথ কেয়ারের মতে, এই সম্মিলিত পদ্ধতির প্রয়োগ বিশ্বে প্রথম।
হাসপাতাল জানায়, মানব কিডনির সাথে তার মিল খুঁজে পেতে কয়েক বছর সময় লাগতে পারে। পিসানো বলেছেন, যদি এটি এখন কাজ নাও করে তবে এটি পরবর্তী কোনো ব্যক্তির দেহে কাজ করতেও পারে। অন্তত কেউ এর থেকে উপকৃত হবে।
তবে মন্টগোমারি বলেন, পিসানোর কিডনির কার্যকারিতা এখনো পর্যন্ত ‘নিখুঁত’।