বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর এবার শ্রীলঙ্কায় ভারত বয়কটের ডাক
বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পর এবার শ্রীলঙ্কায় তোড়জোড়ভাবে শুরু হয়েছে ইন্ডিয়া আউট আন্দোলন। গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে গত শুক্রবার (৩মে) বলা হয়, সম্প্রতি দেশটির কর্তৃপক্ষ ভারতের সাথে সম্পৃক্ত একটি কোম্পানিকে বিমানবন্দরে ভিসা প্রসেসিংয়ের দায়িত্ব হস্তান্তর করলে এই আন্দোলন গতি পায়।
প্রতিবেদন হতে জানা যায়, সম্প্রতি দেশটির বিমানবন্দরে ভিসা প্রসেসিংয়ে ভারতীয় কোম্পানিকে সম্পৃক্ত করা হলে এই আন্দোলন গতি লাভ করে। আন্দোলনে ভারতের অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এবং দেশের সার্বভৌমত্ব সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি ও কৌশলগত খাতগুলো এখন ভারতীয় আধিপত্যবাদের দখলে বলেও তারা দাবি করে। উদাহরণ হিসেবে তারা বিমানবন্দরের এই ঘটনাকে উল্লেখ করে।
আন্দোলনে অনেক আন্দোলনকারী গণমাধ্যমে ভারতের বিরুদ্ধে তাদের মত প্রকাশ করেন। একজন আন্দোলনকারী বলেন, আমাদের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রের কৌশলগত খাতগুলোকে দখলে নেয়ার বৃহত্তর ভারতীয় প্রচেষ্টার একটি আন্তঃসংযুক্ত ইস্যু হিসেবে দেখি। অন্যএকজন বলেন, ইতিহাসে কখনোই অখণ্ড ভারত ছিল না। ভবিষ্যতেও কখনো হবে না। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের এই সরকারের দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদরা এবং ভারতের আশির্বাদ নিতে আগ্রহী বিরোধী দলীয় নেতারা মনে করেন যে তারা যদি ভারতকে সহযোগিতা করে, তাহলে তাদের পক্ষে ক্ষমতা গ্রহণ করা সহজ হবে।
উল্লেখ্য যে কয়েক মাস আগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ মালদ্বীপে নির্বাচিত হোন চীনপন্থী নেতা মুহাম্মদ মুইজ্জু। সেখানে থেকে মুইজ্জু ক্ষমতায় বসার পর প্রথম ইন্ডিয়া আউট প্রচারাভিযান শুরু করেন। এরপরই তিনি ভারতকে তার সামরিক বাহিনী প্রত্যাহারের চাপও দেয়।
এদিকেবাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর নয়াদিল্লীর কূটনৈতিক সমর্থনের কারণেই বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। যে কারণে এবার নির্বাচন বয়কট করে আন্দোলন শুরু করে এই সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়। এরপর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ইন্ডিয়া আউট প্রচারণা চলতে থাকে যা বর্তমানে অনলাইন ও অফলাইনে অনেকটাই সফলতা লাভ করেছে।