তীব্র হচ্ছে জ্বালানি খাতের সংকট, বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম
জ্বালানি খাতের বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে সংকটে পড়তে পারে দেশের অর্থনীতি। বাড়তে পারে গ্যাস, জ্বালানি তেল ও কয়লার আমদানি খরচ। কারণ হিসেবে মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় ধরনের টাকার অবমূল্যায়ন দায়ী করছে তারা।
এবিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক অধ্যাপক এবং জ্বালানি ও টেকসই উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন কালবেলাকে বলেন, ‘টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত সাংঘাতিক চাপে পড়বে। এখন যে শিল্পায়ন হচ্ছে তার ধারাবাহিকতা নাও থাকতে পারে। এ ধরনের অবমূল্যায়ন খারাপ লক্ষণ।’
তিনি আরও বলেন, টাকার অবমূল্যায়নে আমদানি বেড়ে যাবে। আসলে পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে, তা এখনই নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না। তবে দীর্ঘমেয়াদি একটা চাপ পড়বে, এটা নিশ্চিত।
এদিকে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি পর্যন্ত বিদ্যুৎ খাতে বিল বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। আবার ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির বিলও দিতে হয় ডলারে। ফলে মার্কিন মুদ্রার দাম বৃদ্ধিতে এই বকেয়া পরিশোধেই পিডিবির অতিরিক্ত খরচ হবে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। ফলে ভবিষ্যতে বিদ্যুতের দাম আরও বাড়বে বলে শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
ডলার সংকটের কারণে (বিপিসি), আইটিএফসির এবং বিদেশি তেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলোর পাওনা সমেত বিপিসির শোধ করতে হবে অতিরিক্ত ২৫০ কোটি টাকা । ফলে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে জ্বালানি খাত।