চরম আর্থিক সংকটে ব্যাংক, খোলা থাকলেও নেই কোন টাকা
ব্যাংকে টাকা উত্তোলন করতে আসা গ্রাহকরা ফিরে যাচ্ছেন টাকা না পেয়ে, দীর্ঘ প্রায় ২ মাসেরও অধিক সময় থেকে এমন পরিস্থিতিতে আছে আইসিবি ইসলামী ব্যাংক মৌলভীবাজার শাখা। চরম আর্থিক সংকটে ভুগছে ব্যাংটি ফলে দুশ্চিন্তায় হতাশা বাড়ছে গ্রাহকদের।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ওই শাখায় টাকা জমা নিলেও উত্তলোনে ঝামেলা করছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। চেকের এমাউন্ট বুঝে কম করে অথবা পর্যাপ্ত টাকা নেই বলে চেক ফিরিয়ে দিচ্ছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই ভিড় বাড়ছে টাকা উত্তোলনকারী গ্রাহকদের।
গ্রাহকরা বলছেন- আমরা এই শাখার কর্মকর্তাদের সার্বিক আচরণে মনে করছি এই ব্যাংক এখন দেউলিয়া হওয়ার পথে। দু’চারদিন ব্যাংকে আসা-যাওয়া করেও টাকা উত্তোলনের কোনো সুরাহা হচ্ছে না।
লভীবাজার প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট সাংবাদিক ও ছড়াকার কবি আবদুল হামিদ মাহবুব মঙ্গলবার সকালে চেক নিয়ে টাকা উঠাতে গিয়ে ব্যার্থ হলে ওই চেকের ছবি দিয়ে তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে তিনি বলেন, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক মৌলভীবাজার শাখায় গিয়েছিলাম টাকা উঠাতে। ব্যাংক থেকে বললো ক্যাশ সংকট। টাকা দিতে পারবে না। জানতে চাইলাম কতদিন ধরে এই অবস্থা? উপস্থিত গ্রাহকরা জানলেন দুই মাস ধরে। ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন- আমাদের কিছুই করণীয় নেই। যত পারেন বাংলাদেশ ব্যাংকে অভিযোগ করুন। বাংলাদেশ ব্যাংকই আমাদের এই অবস্থার মধ্যে ফেলেছে।
জানা যায়, গত ৬ই মে টাকার অভাবে প্রায় ৩ ঘণ্টা বন্ধ ছিল তাছাড়া ঈদের ছুটির দুইদিন পরও নাকী শাখাটি বন্ধ ছিল টাকার ঘাটতি থাকায় কারণে। আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখার ক’জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী বলেন- টাকা না পাওয়া ক্ষুব্ধ গ্রাহকদের গালিগালাজ শুনতে শুনতে আর সহ্য হচ্ছে না। টাকার সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংকটি বন্ধ রাখলে ভালো হতো। তারা জানালেন এখন প্রতিদিনই নানা উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন।
আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের মৌলভীবাজার শাখার ব্যবস্থাপক মো. তোফাজ্জল হোসেন এই পরিস্থিতির জন্য ব্যাংকের সবল ও দুর্বল ব্যাংকের একীভূত হওয়ার ঘোষণাকে দায়ি করে। তিনি বলেন, ঘোষণার পরই সবাই টাকা উত্তোলন করতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে। তবে চলমান এই সমস্যার বিষয়টি হেড অফিস অবগত। তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করছেন খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ফান্ড দেবেন।