সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে লাপাত্তা ব্যাংক কর্মচারী

Posted by on in অর্থনীতি 0
1st Image

সিলেটে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রায় অর্ধকোটি টাকা ঋণ নিয়ে লাপাত্তা রয়েছেন ব্যাংক কর্মচারী মিনহাজ। অনুপস্থিত থাকায় এখন তার ঋণের জামিনদাররা পড়েছেন বেকায়দায়। গত ৩রা আগস্ট থেকে তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। জানা যায়, ব্যাংকের  বিভিন্ন সময় ব্যাংকের ঋণের পাশাপাশি অফিসের অভ্যন্তরে থাকা কর্মচারী ইউনিয়নের তহবিল ও ব্যক্তিদের কাছ থেকে আরও অর্ধকোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন তিনি। 

মিনহাজ ওরফে ফারুক সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় প্লাম্বার বা কর্মচারী হিসেবে নিয়োজিত ছিল। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের বারুলা গ্রামে। সে স্যানেটারি মিস্ত্রি হিসেবেও নিয়োগ পেয়েছিল বলেও জানা যায়। 

এ ঘটনায় সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকে তোলপাড় চলছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের কর্মকর্তারা।

তার সম্পর্কে আরও জানা যায়, মিনহাজের মামা সাইফুল ইসলাম মিয়াও সিলেটের বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকৌশল শাখায় যুক্ত আছে । বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মিত কর্মচারী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর মিনহাজ ওরফে ফারুক ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য নির্ধারিত গৃহঋণ নেয়। ঐ টাকা দিয়ে সিলেট শহরতলীর সুরমা গেট এলাকায় জমি কিনে তিনি। তারপর আবারো মোটরসাইকেল ক্রয় বাবদও ব্যাংক থেকে আরো একটি ঋণ নেয়। ব্যাংকের ২টি ঋণ ও সমিতি’র ঋণ মিলে মোট কোটি টাকা হবে বলে জানিয়েছেন কর্মচারিরা। 

তারা আরও বলেন,  চাকরিতে থাকার সময় তার সঙ্গে অনেকেরই ভালো সম্পর্কের খাতিরে বিভিন্ন সময় তার নামে নেয়া ঋণের জামিনদার হয়েছেন পরিচিতরা। এরপর গত আগস্ট মাসের শুরু থেকে হঠাৎ কর্মস্থলে অনুপস্থিত সে, বারবার চেষ্টা করা হলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি। ফলে জামিনদাররা পড়েছেন বিপাকে। বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়কে জানালে এ ব্যাপারে প্রধান কার্যালয়ই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানানো হয়।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক সিলেট অফিসের পরিচালক (প্রশাসন) খালেদ আহমেদ জানিয়েছেন, কোনো কর্মচারী অনুমোদনবিহীন দীর্ঘদিন থেকে অনুপস্থিত থাকলে তার ব্যাপারে অফিসের নিয়ম অনুযায়ী এমনিতেও সিদ্ধান্ত নিতে হয়।

এদিকে লাপাত্তা থাকা মিনহাজের মামা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিলেট অফিসের প্রকৌশল বিভাগের কর্মচারী সাইফুল ইসলাম মিয়া বলেন, তার ভাগিনার কোনো ঋণে তিনি জামিনদার ছিলেন না এমনকি তার সঙ্গে তেমন সম্পর্কও ছিল না তার। বর্তমানে মিনহাজ ওরফে ফারুক কোথায় আছে সে বিষয়েও তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।