দিনে ৩ বার করে তিন মাস কৃমির ওষুধ খেতে দিলেন চিকিৎসক
কৃমিনাশক ওষুধের ডোজ দিনে তিনবার করে তিন মাস- এমন কথা শুনলে যে কারও চোখ কপালে উঠবে। কিন্তু এমন কথা যখন কোনো চিকিৎসক লিখিত আকারে প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে বলেন, তখন কেমন হবে?
এমনই প্রেসক্রিপশন লিখেছেন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে পাস করা চিকিৎসক দাবি করা সুমাইয়া আজাদ প্রাপ্তি। জানা যায়, রংপুর মেডিকেল থেকে এমবিবিএস সিএমইউ আল্ট্রা এবং বিএমডিসি (রেজি : এ-১৩০৩৮৮) নিবন্ধনকৃত। কিন্তু এমন কান্ডের পর তার বৈধতা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন আসছে।
উক্ত প্রেসক্রিপশন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে চিকিৎসক সুমাইয়া আজাদ প্রাপ্তির চিকিৎসাসেবা দেওয়ার বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় ওঠে। প্রশ্ন উঠেছে তার সার্টিফিকেট বৈধ কি না এ ব্যাপারেও।
এ বিষয়ে মিডিয়া তাকে জিঙ্গাস করলে ওই চিকিৎসক বলেন, ”এটি কলমের ভুল (স্লিপ অব পেন)।’ আমি ক্যালসিয়ামের ওষুধ এনজেনটা ডিএস লিখতে চেয়েছিলাম, সেটা কলমের ভুলে এলবেন ডিএস হয়ে গেছে। “
তবে উক্ত ঘটনায় নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে একাধিক ফার্মেসির পরিচালক জানায়, এমন ভুল তিনি একাধিকবার করেছেন। কখনও ট্যাবলেট বা ক্যাপসুলের ফরমেটে সিরাপ আবার সিরাপের ফরমেটে ট্যাবলেট লিখেছেন।
বর্তমানে ওই চিকিৎসক চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মজিদিয়া ট্রাস্টের আইডিয়াল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্ত্রী, প্রসূতি গাইনি, মেডিসিন রোগের অভিজ্ঞ এবং সনোলজিস্ট পরিচয়ে নিয়মিত রোগী দেখেন।