বাংলাদেশি নাগরিকদের তথ্য বিক্রি করে দিয়েছেন দুই পুলিশ কর্মকর্তা
বাংলাদেশি নাগরিকদের অতি সংবেদনশীল এবং ‘ক্লাসিফায়েড’ তথ্য অনলাইনে বিক্রি করেছে পুলিশের দুই কর্মকর্তা। উক্ত বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন এনটিএমসি’র মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান।
জানা যায়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) ডাটাবেইজে প্রবেশ করে এসব তথ্য নিজেদের দখলে নিয়েছিলেন অ্যান্টিটেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন এবং র্যাপিড একশন ব্যাটালিয়ন-৬ (র্যাব) এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তারেক আমান বান্না।
বিষয়টি এনটিএমসি’র নজরে এলে আসলে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী এই দুই ইউনিটের প্রবেশাধিকার বন্ধ করাসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন নিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব বরাবর একটি চিঠি দেন। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিগত ২৫ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে এসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন এসপি ফারহানা এবং এএসপি তারেক। ২৫ এপ্রিল রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে ‘ডাটা ব্রিচ’ এর তথ্য জানতে পারে এনটিএমসি।
এনটিএমসি’র একটি সূত্র জানায়, ৪২টি সরকারি সংস্থার প্রায় পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা এনআইপি’তে প্রবেশাধিকার পান। বিভিন্ন সরকারি সেবা এবং তদন্ত সংশ্লিষ্ট কাজে প্রবেশাধিকার প্রয়োজন হয় তাদের। এনআইপি’তে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য এবং কল ডিটেইল রেকর্ড (সিডিআর) থাকে। প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজেদের ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে এই পোর্টালে প্রবেশ করেন। বিষয়টি নজরে এলে এর প্রেক্ষিতে দায়ী পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি এনআইপি’তে পুলিশের এটিইউ এবং র্যাব-৬ এর প্রবেশাধিকার বন্ধ রেখেছে এনটিএমসি।