ভারতে এসে ৩০০ রুপির গয়না ৬ কোটি দিয়ে কিনে দিশেহারা মার্কিন নারী
মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা চেরিস নরতেজ ২ বছর আগে ভারতে এসে রাজস্থানের এক ব্যবসায়ীর থেকে গয়না কিনেছিলেন মোট ৬ কোটি টাকার। সিকিউরিটি হিসেবে তাকে হলমার্ক সার্টিফিকেটও দিয়েছিল ওই ব্যবসায়ী।
গয়না কেনার পর তা মার্কিন মুলুকেও নিয়ে গিয়েছিলেন চেরিস। এতদিন ধরে সব ঠিক ছিল। কিন্তু যখন গয়নাগুলি নিয়ে একটি এক্সিবিশন করলেন তখন জানতে পারলেন একটিও গয়না আসল নয়, বরং এর মার্কেট ভ্যালু মেরেকেটে সর্বোচ্চ ৩০০ রুপি হবে! বিষয়টি জানার পরপরই তিনি উড়ে চলে আসেন ভারতে। মাটিতে পা দিয়েই যান জয়পুরের ওই সোনার দোকানে। কিন্তু দোকানের মালিক গৌরব সোনি কোনও অভিযোগই মানতে চায়নি। তিনি প্রতারিত হয়েছেন তা বুঝতে পেরে সাহায্য চান স্থানীয় পুলিশের কাছে, এমনকি মার্কিন দূতাবাসেও।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ দোকানে গেলে অবশ্য তাদের কাউকেই খুঁজে পায়নি। এমনকি বাড়িতেও নেই তারা। পুলিশ জানান, যে দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেটি বাবা আর ছেলে মিলে চালাতেন। তাদেরকে না পেয়ে ধারণা করা হয় দুজনই পালিয়েছেন।
চেরিস নরতেজ জানান, ২০২২ সালে ইনস্টাগ্রামে তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল গয়না ব্যবসায়ী গৌরব সোনির সাথে। সেখান থেকে তিনি জানতে পারেন জোহরি বাজারের গৌরব ও তার বাবা রাজেন্দ্র সোনি গয়নার ব্যবসা করেন। কিন্তু রুপোর তৈরি গয়নার উপর সোনার পালিশ করে বিক্রি করেন সেটিা জানা ছিলোনা তার। ফলে গত দুই বছর ধরে আসল সোনার দাম দিয়ে একের পর এক কৃত্রিম অলঙ্কার কিনেছেন তিনি। এই ভাবে সোনিদের তিনি প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন।
কেনার পর চলতি বছরের এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রদর্শনীতে ধরা পরে তার এই গহনা নকল। ধরা না পরলে হয়ত আরও বহু টাকা বেরিয়ে যেত তার।
জানা যায়, স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই প্রতারণার অর্থের একটা বড় অংশ স্থানান্তর করেছেন গৌরব। জয়পুর পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, নন্দ কিশোর নামে এক ব্যক্তিকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই দুই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে বিশেষ এক দল গঠন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় বদনাম হচ্ছে ভারতের।