প্রথম ম্যাচে কোস্টারিকার বিপক্ষে গোল শূন্য ড্র করে ফিফা র্যাংকিংয়ে ৫৪ ধাপ পিছিয়ে পড়ে ব্রাজিল। ফলে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে জয় তোলাটা অনিবার্য হয়ে পড়ে। কিন্তু শেষে আর পা ফসকানের কোন ঘটনা ঘটায়নি হলুদ জার্সিধারীরা। ছিনিয়ে এনেছে জয়। তবে জয় সাথে পেয়েছে সমর্থকদের সমালোচনাও। সমালোচনার সকল প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম প্রশ্ন উঠেছে একটাই ব্রাজিলের রক্ষণ কী ঠিক আছে?
২৫ জুনে কোস্টারিকার বিপক্ষে তেমন লড়াই করতে হয়নি ব্রাজিলের। প্রতিরোধের পরিবর্তে আক্রমণেই বেশি ব্যস্ত থেকেছেন তারা। তবে গতকালের ম্যাচে স্বল্প পরীক্ষায় লেজে-গোবরে করে ফেলেছেন তারা। পিএসজি তারকা মারকিনিওসের ব্যর্থতার কারণে গোলও হজম করতে হয়েছে। গোলরক্ষক আলিসনও সেটি স্বাভাবিকভাবে নিতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বিশেষ করে বুলেট গতির সেই শট ব্রাজিল ডিফেন্ডারদের ঠেকানো উচিত বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আলিসন। ফলে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ নিয়ে কিছুটা শঙ্কা তৈরি হয়েছে। ক্ষুদ্র এসব পরীক্ষার জন্য সামনের অতন্দ্র প্রহরী থিয়াগো সিলভা কিংবা মার্সেলোরা এখন দলের সঙ্গে নেই। এখন মারকিনিওসদেরই এসবের দায়িত্ব নিতে হবে।
এসকল পরিক্ষায় ব্যাতিক্রম হলে ব্যর্থতার শিকল ভাঙা কঠিন হবে। সামনে আসবে নানান প্রশ্ন। কোস্টারিকার ম্যাচের ব্যর্থতাই এর প্রমান। তবে শেষ পর্যন্ত রক্ষণ, আক্রমণসহ মধ্যমাঠের পরীক্ষায় কতটুকু সফল হতে পারবে ব্রাজিল, সেটি ম্যাচের ফলাফলই বলে দিবে।