বিয়ে হওয়ায় ছাত্রীকে স্কুলে আসতে নিষেধ প্রধান শিক্ষকের
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মাগুরা ইউনিয়নের কায়েমকোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ের কারণে স্কুলে আসতে নিষেধ করায় রোববার (৩০ জুন) থেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন ওই স্কুলছাত্রী।
ছাত্রীর চাচা সুরত আলী বলেন, আমার ভাতিজি ছাত্রী হিসেবেও অনেক ভালো। সে নিজের ইচ্ছায় সম্পর্ক করে বিয়ে করেছে। বিবাহিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক তাকে আর স্কুলে রাখতে চাচ্ছে না। আমি অভিভাবক হিসেবে তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও সে অপরাগতা প্রকাশ করেছে। পরে অন্য মাধ্যম দিয়ে শিক্ষককে বলেছি মেয়েকে টিসি দিয়ে দিতে।
জানা যায়, ঈদের পর পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করেন ওই ছাত্রী। ফলে বাল্যবিয়ের অপরাধে স্কুলে আসতে নিষেধ করেছেন প্রধান শিক্ষক। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন, মেয়েটি ভালো ছাত্রী ছিল। দশম শ্রেণিতে ওঠার পর থেকেই বাইরের ছেলেদের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করে। পরে বিষয়টি তার পরিবারকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু ঈদের পরে মেয়েটি নিজের ইচ্ছায় পরিবারকে না জানিয়ে বিয়ে করে ফেলে। ফলে তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করা হয়েছে, তবে পরীক্ষার সময়ে পরীক্ষা দিবে।
তিনি আরও বলেন, মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়সে বিয়ে করেছে। ফলে অনেকগুলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের মধ্যে একটা বিবাহিত মেয়ে থাকলে একটু সমস্যা হতে পারে। তারা বান্ধবীদের সঙ্গে নানা ধরণের গল্প করবে। নানা গল্পের কারণে অন্য শিক্ষার্থীদের ওপর প্রভাব পড়বে। তাছাড়া স্কুলের অন্য ছাত্রীরা অভিযোগ দিয়েছে, শিক্ষকরাও বলছে ওই মেয়ে স্কুলে আসলে অন্য শিক্ষার্থীরা স্কুল ছেড়ে দিবে।
এ বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ণ ম্যানেজিং কমিটির ওপর নির্ভর করছে। তারা যদি ইচ্ছা করে ওই ছাত্রীকে রাখতে পারে। আবার যদি টিসি দেয়ও তাহলে তাদের একথাও বলা যাবে না কেন টিসি দিলেন।
পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হলে তিনিও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকমর্তার মতো একই কথা বলেন।