‘আমাকে বাঁচাও, আমি আটকা পড়েছি’- বাবার সঙ্গে নিমুর শেষ কথা
বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১০টার দিকে রাজধানী বেইলি রোডের ভবনে আগুন লাগে। এ ঘটনায় ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন অন্তত ২২ জন। নিমু তার খালাতো বোন আলিশা ও রিয়া এবং পাশের বাসার আরও তিনজন বান্ধবীসহ মোট ৬ জন গিয়েছিলো ভবনটির একটি রেস্তোরাঁয় খেতে । দুর্ঘটনায় তারা ছয়জনই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। ভবনে আগুন লাগলে তারা ছয়জনই ভেতরে আটকা পড়ে। আলিশার মামা জানান, আগুনের প্রভাব যখন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছিলো তখন নিমু ফোন করেন তার বাবা আবদুল কুদ্দুসকে । বাঁচার আকুতি জানিয়ে নিমু বলেন, ‘বাবা, আমাকে বাঁচাও, আমি আটকে পড়েছি।’ এর কিছুক্ষণ পরই বন্ধ হয়ে যায় নিমুর মোবাইল ফোন। তার বাবা দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে জানতে পারেন, মেয়ের মরদেহ ইতোমধ্যেই নেয়া হয়ে গিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। মেয়ের জন্য আহাজারি করে আবদুল কুদ্দুস ভারাক্রান্ত কন্ঠে চিৎকার দিয়ে বলেন, ‘মেয়েটা মৃত্যুর সময় বারবার বাবা বলে চিৎকার দিয়েছিল।’