রিমান্ডে যেসব চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে পলক
বিমানবন্দর থেকে আটকের পর বর্তমানে ১০ দিনের রিমান্ডে আছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। ডিবি হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েই চলেছেন তিনি।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, পলকের ভাষ্য মতে শেখ হাসিনার পতনের আগের দিন (৪ আগস্ট) গণভবনের বৈঠকে উপস্থিত আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সম্মুখ্খে পলক বলেন, প্রয়োজনে হলে আমাকে বলি দিন। তারপরেও শিক্ষার্থীদের অন্দোলন বন্ধ করুন। তাদের চোখের ও মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন।
একথা বলার পর সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তেড়ে আমাকে মারতে আসেন। তখন আমি সাহস করে প্রধানমন্ত্রীকে বললাম, আপনি স্টেপ ডাউন করুন। কারণ আওয়ামী লীগকে এখন মানুষ ঘৃণা করছে, থুতু দিচ্ছে। একথা বলার পর তাকে গণভবন থেকে বের করে দেওয়া হয় বলে জানান পলক।
তিনি আরও বলেন, টেন মিনিট স্কুলের সাথে সরকারের যে চুক্তি ছিলো সেটা আমি বাতিল করতে চাইনি। কিন্তু সাবেক শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল জোর করে আমার দ্বারা ওই চুক্তি বাতিল করায়। কারণ আয়মান সাদিক অন্দোলনকারী ছাত্রদের পক্ষে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তার ফেসবুক প্রোফাইল পিকচার লাল করেছিলেন।
জিঙ্গাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি আরও বলেন, আমি সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে বাস্তবতা মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানালেও তিনি কোন ভাবেই মানতে রাজি হচ্ছিলেন না। তখন ডিবি কর্মকর্তা তাকে প্রশ্ন করেন, ‘আপনি যদি সত্যিই তখন দেশের স্থিতিশীলতা চাইতেন তাহলে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন না কেন?’ ডিবি কর্মকর্তার এ প্রশ্নে চুপ থাকেন পলক।
উল্লেখ্য যে, ১৯ জুলাই পল্টন এলাকায় কাজল মিয়া নামক এক রিকশা চালক গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। পরে ওই ঘটনায় পল্টন থানায় হওয়া মামলার আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার হন পলক। তাকে আটকের পর রিমান্ডে এখনও সার্বিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে ডিবির গুলশান বিভাগ।