যে কারণে গণছুটি ও পদত্যাগের ঘোষনা দিলো পল্লি বিদ্যুৎ কর্মচারিরা
বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের কতিপয় দুষ্কৃতকারী ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তার অপসারণ/শাস্তি দাবি জানিয়েছে দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী। দাবিতে তারা আজ মঙ্গলবার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টা ও বিদ্যুৎ উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করছেন। তাদের বিজ্ঞপ্তির মতে স্টেশন ত্যাগপূর্বক গণছুটি এমন কি প্রয়োজনে গণপদত্যাগের ঘোষণাও দিবেন তারা। তারা আরও জানান, দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের ফলে দেশের সর্ববৃহৎ বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পাশাপাশি ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের সম্ভাবনাও সৃষ্টি হতে পারে।
গতকাল সোমবার (২৬ আগস্ট) সমন্বয়ক আব্দুল হাকিম, মো. আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া ও প্রকৌশলী রাজন কুমার দাসের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর পক্ষ হতে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকল প্রকার রোদ, ঝড়, বৃষ্টি উপেক্ষা করে দেশের প্রায় ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে থাকেন। তা স্বত্বেও তারা পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ও ৪৭ বছর ধরে চলমান শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন মধ্যে দিয়ে চলেছে। ফলে এর থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সকল অনিয়মিত/চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের দুই দফা দাবি আদায়ে আন্দোলন করছেন। এই আন্দোলন চালানোর মধ্যে দিয়েই চলতি বছরের প্রথম থেকে স্মারকলিপি প্রদান, বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল ও গ্রাহক সেবা চালু রেখে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের দাবি উপস্থাপন করেছেন তারা। ইতিপূর্বে বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হলেও আরইবি’র অসহযোগিতায় তারা যৌক্তিক সমাধানে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে গত ২৪শে আগস্ট প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন পল্লি বিদ্যুতের ৪৫ হাজার কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ।