হজ মুসলমানদের জন্য একটি বড় ধর্মীয় ইবাদত। প্রতি বছর লক্ষাধিক মানুষ হজ করতে দেশ ছাড়েন। ফলে সাবেক সরকারের সময় এই হজ নিয়েও গড়ে উঠেছিলো সিন্ডিকেট। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকারের সময় এমনটা হবে না বলে জানান সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
তিনি জানান, আজ বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। হজের খরচ কীভাবে যৌক্তিকভাবে কমানো যায় তা নির্ধারণ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পূর্বে সিন্ডিকেট/কারসাজি করে হজের প্যাকেজ মূল্য বাড়িয়ে তোলে হতো। বর্তমানে এটি থেকে বের হওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে।
নতুন প্যাকেজ কত হতে পারে এ বিষয়ে সৈয়দা রিজওয়ানা জানান, কতো কমানো যেতে পারে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে বর্তমান প্যাকেজ থেকে সেটি কমিয়ে আনা সম্ভব। এই বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য যে, সাবেক সরকার কালে দুটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। যার মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজে যাওয়ার সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল ৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। আর বেসরকারিভাবে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ছিল প্রায় পাঁচ লাখ ৯০ হাজার টাকা। চলতি বছর এখনো কোন প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়নি। তবে এর প্রাক নিবন্ধন চলছে।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চূড়ান্ত নিবন্ধন শুরু হয়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে বলে জানা গেছে। এবং এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন বাংলাদেশি পবিত্র হজ পালন করতে পারবে বলে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গত ২৬ আগস্ট জানানো হয়।