হাসিনাকে নিয়ে ভারতের এখন যে ৩ টি পথ খোলা

Posted by on in আন্তর্জাতিক 0
1st Image

গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরপরই আশ্রয় নেন ভারতে। এর পর থেকে ভারতেই অবস্থান করছেন তিনি। এদিকে হাসিনা সরকারের পতনের পর দেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন হয় এবং একে একে বের হতে থাকে হাসিনার সকল অমানুষিক কর্মকান্ডের তথ্য। ইতিমধ্যে কয়েক ডজন মামলাও হয়েছে এই সাবেক সরকারের বিরুদ্ধে। ফলে গত সপ্তাহে হাসিনা ও তার সরকার ব্যবস্থার সকলের লাল বা কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করেছে বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার।

এদিকে হাসিনার লাল পাসপোর্ট বাতিল ও সাথে সবুজ পাসপোর্ট না থাকার কারণে বৈধ ভাবে সবোর্চ্চ ৪৫ ভারতে অবস্থান করতে পারবে হাসিনা। ইতিমধ্যে এর অর্ধেকের বেশি সময় পার হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে হাসিনা। এমতাবস্থায় হাসিনাকে নিয়ে সামনে ৩ টি পথ খোলা আছে ভারতের। এগুলো হলো :-

হাসিনাকে তৃতীয় কোনো বন্ধু দেশে পাঠানো :
শেখ হাসিনার ভারতে যাওয়ার পরের দিন ৬ আগস্ট ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী  বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতিতে ‘ফর দ্য মোমেন্ট’ (তখনকার মতো) কথাটা ব্যবহার করেছিলেন। অন্যদিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, ‘উই আর হোপিং ফর দ্য বেস্ট, প্রিপেয়ারিং ফর দ্য ওয়র্স্ট ‘ অর্থাৎ ভারত এখনো আশা করছে শেখ হাসিনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালোটাই ঘটবে। অর্থ্যৎ তৃতীয় কোনও বন্ধু দেশে তিনি গিয়ে থাকতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে যদি তৃতীয় কোন রাষ্ট্র হাসিনাকে আশ্রয় দেয় তাহলে  ভারত সরকারের ইস্যু করা ট্র্যাভেল পারমিট দিয়েই তিনি অনায়াসে তৃতীয় দেশে যেতে পারবেন।

রাজনৈতিক আশ্রয় :
তবে কোন রাষ্ট্র রাজনৈতিক আশ্রয় না দিলে একান্ত প্রয়োজনে ভারত শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিয়ে রেখে দিতে পারে। তবে এ বিষয়ে দ্বিধা করবে না বলে এখনই ভারতের একাধিক বক্তব্য থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।

পলিটিক্যাল কামবেকে সাহায্যে :
এখনও ভারতের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একটা প্রভাবশালী মহলের বিশ্বাস যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ল্যান্ডস্কেপে শেখ হাসিনা এখনও ‘চিরতরে ফুরিয়ে যাননি’। তাই তাদের বিশ্বাস এ ক্ষেত্রে উপযুক্ত সময় আসলে ভারতের উচিৎ হবে রাজনৈতিক পুনর্বাসনে হাসিনাকে সাহায্যে করা।
এ ধারায় বিশ্বাসী এমন এক ভারতীয় কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, সকলকে মনে রাখতে হবে এ পর্যন্ত শেখ হাসিনা অন্তত তিন-তিনবার বাংলাদেশের রাজনীতিতে দুর্ধর্ষ ‘কামব্যাক’ করেছেন। এগুলো হলো ১৯৮১, ১৯৯৬ আর ২০০৮ সালে। প্রতিবারই মনে হয়েছিলো তার পক্ষে হয়তো ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না। কিন্তু প্রতিবারই তিনি ঘুরে দাড়িয়ে তা ভুল প্রমাণ করেছেন!