সারা দেশে চিকিৎসকদের শাটডাওন ঘোষনা দিয়েছে ৪ দাবি
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকে চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আজ সারা দেশে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। আজ দুপুর ২ টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের প্রশাসনিক গেটে ডা. আবদুল আহাদ এই ঘোষণা দেন। এ সময় তাদের সাথে থাকা নার্সরাও সংহতি প্রকাশ করে।
এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে ডা. আবদুল আহাদ জনিয়েছিলেন যে, দুপুরে বাগান গেটে নিজেদের দাবি নিয়ে ব্রিফ করবেন তারা। পরে দুপুর ২টায় তারা ৪ দফা দাবি উপস্থাপন করে সারা দেশে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে কমপ্লিট শাটডাওন ঘোষনা করেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘ আমরা কেউই সুরক্ষিত না। ১৮ ঘণ্টা পার হলেও কোনো মামলা হয়নি। এটি প্রশাসনের ব্যর্থতা, চিকিৎসকদের মারধর ও লাঞ্ছার দায়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করছি। ঢামেকসহ দেশের সব জেলা, উপজেলা এমনকি চেম্বারও বন্ধ থাকবে’
তাদের দাবি ৪টি হলো:-
১. চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা,
২. সকল হাসপাতালে এই নিরাপত্তা ২৪ ঘণ্টা থাকতে হবে,
৩. স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগ দিতে হবে ও
৪. স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।
এদিকে সকালে চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে তারা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান। এমন কী ৯টার দিকে জরুরি বিভাগে মেডিকেল অফিসাররা তাদের কক্ষ বন্ধ করে দেন। ফলে এদিকে বিপাকে পড়েছে রোগীরা।
ঘটনার সূত্রপাত হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে নিয়ে। তার নাম আহসানুল ইসলাম দিপ্ত। সড়ক দুর্ঘটনায় চরমভাবে আহত হলে তাকে ঢামেকে নিয়ে আসা হয়। সেখানে ভর্তি করানোর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবহেলা জনিত কারনে মৃত্যু হয়েছে অভিযোগ তুলে শনিবার বিকেলে এক দ্বায়িত্বরত এক চিকিৎসককে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন। পরে আবার মধ্যরাতে ধারালো অস্ত্র নিয়ে একটি পক্ষ হাসপাতালে ঢুকে পড়ে। ভাঙচুর চালানসহ চিকিৎসকদের মারধর করে। এ ঘটনার পর বিচার দাবিতে চিকিৎসকরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। কিন্তু ২৪ ঘন্টা পূর্ণ হবার পূর্বেই রোববার সকাল থেকে তারা সকল চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দেন এবং পরে দুপুর ২টায় কমপ্লিট শাটডাওনের ঘোষনা দেন।