চিনির দাম বেড়ে গেল রাতারাতি
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে চিনি পরিশোধন কারখানা এস আলম সুগারমিলের গুদামে ভয়াবহ আগুনে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি পুড়ে গেছে বলে দাবি করেছে ওই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটির চারটি গুদামের মধ্যে একটিতে আগুন লাগে। কোনো সংকট না থাকলেও সুযোগসন্ধানী মিল মালিকরা রাতের আঁধারে বাড়িয়ে দিলো দাম। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, রমজানের এক সপ্তাহ আগে এই চিনি ভষ্মীভূত হওয়ায় বাজারে এর প্রভাব পড়বে। সুগারমিলের আগুনের কিছুটা প্রভাব দেখা গেছে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চিনির পাইকারি আড়তে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, সেখানে চিনির মণপ্রতি ৭০ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে বলে। খুচরা বাজারেও চিনির দাম নিয়ে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বছরে বাংলাদেশে ২০ থেকে ২২ লাখ মেট্রিক টন চিনির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে চট্টগ্রামের এস আলম সুগার মিল থেকে চাহিদার ১০ শতাংশ চিনি সরবরাহ করা হয়।
খুচরা ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করছেন শিল্পগ্রুপগুলো প্যাকেটজাত চিনির সরবরাহ একেবারেই বন্ধ করে দিয়েছে । যে কারণে খুচরা পর্যায়ে প্যাকেটজাত চিনিও বিক্রি হচ্ছে বাড়তি দামে।
কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাব’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীরা এখন বড় অজুহাত পেয়েছে। ব্যবসায়ীরা এখন এটাকে ইস্যু করে দাম বাড়ানোর চেষ্টা করবে। আরও তো রিফাইনারি কোম্পানি আছে। তাদের যথেষ্ট পরিমাণে পণ্য মজুত আছে। প্রতিটি রিফাইনারি গ্রুপেরই রমজানের চাহিদা মেটানোর জন্য ৩ লাখের বেশি চিনি মজুত আছে।