যুক্তরাষ্ট্রে চীনের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) অ্যাসিস্ট্যান্ট ‘ডিপসিক’ (deepseek) নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করছে মার্কিন আইনপ্রণেতারা। মার্কিন সিনেটর জশ হাওলি সম্প্রতি একটি বিল উত্থাপন করেছেন, যেখানে সরকারি ডিভাইস ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে এ চ্যাটবট ব্যবহারের ক্ষেত্রে কঠোর শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে।
কড়া শাস্তির বিধান
প্রস্তাবিত আইনের আওতায়:
- ব্যক্তি পর্যায়ে ১০ লাখ ডলার পর্যন্ত জরিমানা ও ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
- ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে ১০ কোটি ডলার পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।
গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
ডিপসিকের বিরুদ্ধে প্রধান অভিযোগ ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা লঙ্ঘন। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, চীনা প্রযুক্তি সংস্থাগুলো প্রায়ই ব্যবহারকারীদের তথ্য চীনা সরকারের সঙ্গে ভাগ করে নেয়। এই একই উদ্বেগ থেকেই যুক্তরাষ্ট্র আগে টিকটক নিষিদ্ধ করার পরিকল্পনা করেছিল।
সিনেটর হাওলি মনে করেন, ডিপসিক ব্যবহারের ফলে মার্কিন নাগরিকদের সংবেদনশীল তথ্য চীনা কর্তৃপক্ষের হাতে চলে যেতে পারে, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।
অন্যান্য দেশ কী করছে?
শুধু যুক্তরাষ্ট্রই নয়, ইতালি, তাইওয়ান ও অস্ট্রেলিয়াও ডিপসিক নিষিদ্ধ বা কঠোর নিয়ন্ত্রণের পথে হাঁটছে। তবে ভারত কিছুটা ভিন্ন কৌশল গ্রহণ করেছে। দেশটির আইটি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, ভারতীয় ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ডিপসিককে স্থানীয় সার্ভারে হোস্ট করা হবে।
বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে সাইবার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা রক্ষার প্রশ্ন সামনে চলে আসছে। ডিপসিক নিষিদ্ধ করার উদ্যোগের ফলে ভবিষ্যতে আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি নীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।