বর্তমান সময়ে সিনেমার গল্প এবং সমাজের পরিবর্তনের সঙ্গে ভিলেনদের জনপ্রিয়তা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। একসময় খল চরিত্রের জন্য নির্দিষ্ট কিছু অভিনেতাকে বেছে নেওয়া হলেও এখন প্রথম সারির তারকারাও ভিলেন চরিত্রে অভিনয়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। ভারতীয় সিনেমায় ‘কেজিএফ’, ‘অ্যানিমেল’, ‘পুষ্পা’, ‘টাইগার’, ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’—এমন বহু ব্লকবাস্টার ছবিতে নায়ক-ভিলেনের লড়াই দর্শকদের মাতিয়ে রেখেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ববি দেওল ও সঞ্জয় দত্তের মতো অভিনেতারা ভিলেন চরিত্রে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। কিন্তু এবার বলিউড-হলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন! ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকপ্রাপ্ত ভিলেন হিসেবে নাম লেখালেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। দক্ষিণী সিনেমার বিখ্যাত পরিচালক এস এস রাজামৌলির ‘এসএসএমবি২৯’ সিনেমায় খল চরিত্রে দেখা যাবে তাকে।
এত পারিশ্রমিক কোনো নারী বা পুরুষ ভিলেন আগে পাননি!
এই সিনেমাটি ভারতের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে!
রাজামৌলির এই নতুন মেগা-প্রজেক্টের জন্য বিশাল বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে। সিনেমাটির মোট বাজেট: ১০০০ কোটি রুপি, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার পারিশ্রমিক: ৩০ কোটি রুপি। এর আগে কখনো কোনো অভিনেতা বা অভিনেত্রী ভিলেন চরিত্রের জন্য এত বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক নেননি। ফলে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ভিলেন হয়ে গেছেন!
কেন এত জনপ্রিয় হচ্ছে ভিলেন চরিত্র?
আগে নায়ক-কেন্দ্রিক সিনেমার জয়জয়কার থাকলেও এখন ভিলেন চরিত্রও সমানভাবে আলোচনায় আসছে। বর্তমান সময়ে ভিলেনরা কেবল নেতিবাচক নয়, বরং এক ধরণের ক্যারিশম্যাটিক ও গভীর ব্যক্তিত্বসম্পন্ন চরিত্র হিসেবে উপস্থাপিত হচ্ছে। ‘কেজিএফ’, ‘অ্যানিমেল’, ‘পাঠান’, ‘জওয়ান’ এর মতো সিনেমাগুলোতে ভিলেনদের চরিত্রকে এতটাই শক্তিশালী করা হয়েছে যে দর্শকরা তাদের অভিনয় উপভোগ করছেন।
প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলিউডের গণ্ডি পেরিয়ে হলিউডেও সাফল্য পেয়েছেন। তার মতো আন্তর্জাতিক তারকা একজন ভিলেন হিসেবে ভারতীয় সিনেমায় যোগ দিলে দর্শকদের আকর্ষণ আরও বাড়বে। এছাড়া, পরিচালক এস এস রাজামৌলি আগেও ‘বাহুবলী’ ও ‘আরআরআর’-এর মতো ঐতিহাসিক ব্লকবাস্টার উপহার দিয়েছেন। তাই তার এই নতুন সিনেমায় প্রিয়াঙ্কার উপস্থিতি নিয়ে প্রত্যাশা আরও বেশি! এখন দেখার বিষয়, প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার এই খল চরিত্র দর্শকদের কতটা মুগ্ধ করতে পারে!