বাংলাদেশ ভারতে অবস্থিত আদানি গ্রুপের ১৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র সম্পূর্ণ সক্ষমতায় চালু করার অনুরোধ জানিয়েছে। সরকারি এক কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্স।
বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির কারণ কী?
গত তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে এসেছে। এর পেছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে—
১️। শীতের মৌসুমে বিদ্যুতের চাহিদা স্বাভাবিকের তুলনায় কম ছিল।
২️। অর্থ পরিশোধ সংক্রান্ত কিছু জটিলতা দেখা দেয়, যার ফলে সরবরাহ অর্ধেকে নেমে আসে।
২০১৭ সালে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের আদানি পাওয়ার মধ্যে ২৫ বছরের বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির আওতায় ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানির ২ বিলিয়ন ডলারের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ আমদানি করে আসছে।
এই কেন্দ্রের ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন দুটি ইউনিট রয়েছে, যা একচেটিয়াভাবে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম জানান, সাম্প্রতিক চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় আদানির দ্বিতীয় ইউনিট চালুর পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এটি এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে প্রতি মাসে ৮৫ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করছে, এবং বকেয়া পরিশোধেরও পরিকল্পনা রয়েছে। আদানির সঙ্গে বর্তমানে বড় কোনো সমস্যা নেই, তবে সম্পূর্ণ সক্ষমতায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালুর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।