বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট খোলার নিয়ম ও প্রয়োজনীয় সকল তথ্য

By MD Alim

Updated on:

বাংলাদেশের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (Mobile Financial Services) বা সংক্ষেপে এমএফএস (MFS) সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিকাশ সবচেয়ে জনপ্রিয়। বিকাশের মাধ্যমে টাকা আদান প্রদান সহজ এবং গ্রাহকের আর্থিক নিরাপত্তাও বেশ ভালো। ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য এটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। বিকাশের মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্তে মুহূর্তের মধ্যে টাকা লেনদেন করা যায়। এছাড়াও বিশ্বের অনেক স্থানে খুব কম সময়ের মধ্যে বিকাশ ব্যবহার করে টাকা আদান প্রদান করা যায়। প্রিয়জনের কাছে জরুরি প্রয়োজনে মুহূর্তেই টাকা পাঠানোতে বিকাশের অবদান সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশের বহুল ব্যবহৃত বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং আকাউন্ট কিভাবে খুলতে হয় এবং বিকাশ একাউন্ট কিভাবে নিরাপদ রাখতে হয় এ ব্যাপারে সকল বিকাশ ব্যাবহারকারীদের জানা উচিত। তাই আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিকাশ সম্পর্কিত সকল কিছু নিয়ে আলোচনা করা হবে।


নিচের যে অংশ জানতে চান ক্লিক করুন

কিভাবে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়?

আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন-
i) বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে
ii) এজেন্টের মাধ্যমে

বিকাশ অ্যাকাউন্ট (Bkash Account) খুলতে কি কি লাগে?

বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে প্রয়োজন আপনার একটি সচল সিম ও জাতীয় পরিচয়পত্র। 

বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খোলা। আপনার মোবাইলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলে নিজেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। নিচে বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম ধাপে ধাপে দেয়া হলো-

i) প্রথমেই আপনার স্মার্টফোনে থাকা প্লেস্টোর সফটওয়্যারে প্রবেশ করে বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে হবে। এই লিংকে ক্লিক করেও সরাসরি ডাউনলোড করতে পারবেন।

ii) অ্যাপটি ডাউনলোড হওয়ার পর ইনস্টল সম্পন্ন হলে অ্যাপটিতে প্রবেশ করুন।

iii) অ্যাপে প্রবেশের পর প্রয়োজনীয় সকল পারমিশনগুলো দিতে হবে।

iv) লগইন /রেজিস্টার অপশনে ক্লিক করুন।

v) আপনার যে নাম্বারে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলবেন সে নাম্বারটি দিতে হবে। অবশ্যই একই মোবাইল সিমটি লাগানো থাকতে হবে। পরবর্তী বাটনে ক্লিক করুন।

vi) সিমের অপারেটর সিলেক্ট করুন। এরপরে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন সিলেক্ট করুন।

vii) আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি কোড আসবে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে কোডটি নির্দিষ্ট স্থানে বসে যাবে।

viii) এরপর আপনার NID /Birth Certificate এর ছবি দিতে হবে।

ix) এরপর আপনাকে কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। তথ্যগুলো ঠিকভাবে দেওয়ার পর আপনার একটি সেলফি আপলোড করতে হবে। 
উপরের সব কাজ শেষ হওয়ার পর আপনার মোবাইলের ডায়াল প্যাড অপশনে গিয়ে *২৪৭# ডায়াল করে ৫ ডিজিটের একটি পিন সেট করতে হবে। আপনার ৫ ডিজিটের এই গোপন নাম্বারটি কারো সাথে শেয়ার করবেন না। উপরের সবগুলো কাজ সঠিকভাবে করলে আপনার মোবাইলে একটি কনফার্মেশন এসএমএস আসবে। এভাবে আপনি নিজেই আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন।

এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার নিয়ম

এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে যেতে হবে নিকটস্থ এজেন্টের কাছে। সাথে নিয়ে যেতে হবে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র ও ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। প্রয়োজনীয় সকল তথ্য দিয়ে এজেন্টকে সাহায্য করুন। *২৪৭# ডায়াল করে ৫ ডিজিটের পিন সেট করুন। এভাবে এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। 

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে কি বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়?

জন্ম নিবন্ধন দিয়ে বিকাশ অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। তবে সেক্ষেত্রে আপনার 
মা/বাবা /লিগ্যাল অভিবাবকের জাতীয় পরিচয়পত্র লাগবে।

বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার (Bkash Account Number)

আপনার সিমের নাম্বারটিই হলো আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার।

একটি ভোটার আইডি কার্ড দিয়ে কয়টি অ্যাকাউন্ট খোলা যায়?

একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে কেবলমাত্র একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবেন। যদি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে একের অধিক বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলে থাকেন সেক্ষেত্রে যেকোনো একটি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে যেতে পারে।


বিকাশ অ্যাকাউন্ট কত ধরণের?

আমরা যারা ব্যাক্তিগতভাবে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করি তা সাধারণত বিকাশ পারসোনাল অ্যাকাউন্ট। এছাড়াও বিকাশের স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট, এজেন্ট অ্যাকাউন্ট, মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

কিভাবে বিকাশ পারসোনাল অ্যাকাউন্ট (Bkash Personal Account) খুলবেন?

বিকাশের গ্রাহক পর্যায়ের জন্য নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট হলো বিকাশ পারসোনাল অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্ট দিয়ে অন্য বিকাশ পারসোনাল অ্যাকাউন্টে সেন্ড মানি করা যায়। এছাড়াও মোবাইল রিচার্জ, ক্যাশ আউট, পেমেন্ট , অ্যাড মানি, পে বিল, লোন, রেমিটেন্স ইত্যাদি করা যায়।

কিভাবে বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট (Bkash Agent Account) খুলবেন?

মূলত একজন বিকাশ এজেন্ট বিকাশ গ্রাহকদের একাউন্ট খোলা, ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট এর মত সুবিধা প্রদান করে থাকেন। সুতরাং গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট খোলা, ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করার জন্য যে অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় সেটাই বিকাশ এজেন্ট অ্যাকাউন্ট। একজন বিকাশ এজেন্ট গ্রাহকদের একাউন্ট খোলা, ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করার জন্য কমিশন পেয়ে থাকে। 

বিকাশ এজেন্ট (Bkash Agent) হতে কি কি লাগে?

আপনার যদি একটি দোকান থাকে ও নির্দিষ্ট কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যদি আপনার কাছে থাকে, তবে আপনিও বিকাশ এজেন্ট হতে পারবেন। নিচে বিকাশ এজেন্ট হতেযা যা যা লাগবে দেওয়া হলো। 
i ) দোকান – বিকাশ এজেন্ট হওয়ার সর্বপ্রথম শর্ত হলো আপনার একটি দোকান থাকতে হবে।
ii) ট্রেড লাইসেন্স – বিকাশ এজেন্ট হতে হলে আপনার দোকানের ট্রেড লাইসেন্স থাকা অত্যাবশ্যক।
iii) এজেন্ট সিম – একটি মোবাইল নম্বর বা সিম কার্ড লাগবে বিকাশ এজেন্টের। যেকোনো অপারেটরের সিম বিকাশ এজেন্ট সিম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
iv) টিন সার্টিফিকেট – Taxpayer’s Identification Number বা TIN সার্টিফিকেট প্রয়োজন হতে পারে বিকাশ এজেন্ট একাউন্টের আবেদন করতে।

এছাড়াও প্রাথমিকভাবে বিকাশ এজেন্টকে একটি নির্দিষ্ট এমাউন্টের টাকা লোড করে নিতে হয়।

কিভাবে বিকাশ স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্ট (Bkash Student Account) খুলবেন?

আমাদের মধ্যে যাদের বয়স ১৪ থেকে ১৮ বছরের কম তারা বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবে। বিকাশ দেশজুড়ে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য স্টুডেন্ট অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করেছে। খুব সহজেই তারা বিকাশ অ্যাকাউন্ট খুলতে পারবে। শুধু নিজের ডিজিটাল জন্ম সনদ আর মা/বাবার সচল বিকাশ নাম্বার থাকলেই বিকাশ স্টুডেন্ট একাউন্ট খুলতে পারবে।

কিভাবে বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট (Bkash Merchant Account) খুলবেন?

ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে বাংলাদেশে বিকাশ অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিভিন্ন বিল পরিশোধ, অনলাইন কেনাকাটা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বেতনও বিকাশের মাধ্যমে করা সম্ভব। ব্যবসায়ীদের জন্য রয়েছে বিকাশের মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট। এটি ব্যবসায়ীদের গ্রাহকদের কাছ থেকে সহজেই ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণ করার সুযোগ করে দেয়।
কিভাবে বিকাশ মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলে?
বিকাশের রিজিওনাল কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে অথবা এই লিংকে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাবমিট করুন। পরবর্তীতে বিকাশ থেকে আপনার সাথে যোগাযোগ করা হবে।

কিভাবে বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট (Bkash Retail Account) খুলবেন?

বিকাশ পার্সোনাল রিটেইল একাউন্ট হলো, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ভাসমান উদ্যোক্তা এবং অনলাইন ভিত্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য বিকাশ এর পক্ষ থেকে এমন একটি একাউন্ট, যার মাধ্যমে খুব সহজেই এবং দ্রুত একাউন্ট খোলা যাবে এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে পণ্য এবং সেবা প্রদানের বিপরীতে পেমেন্ট নেয়া যাবে। ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিজেদের ব্যবসার প্রসার ঘটাতে বিকাশের এই উদ্যোগ।

বিকাশ হেল্প (Bkash Help) কী?

বিকাশ সম্পর্কিত যেকোনো সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে গ্রাহক সেবা হেল্পলাইন নাম্বার, লাইভ চ্যাট এবং ফেসবুকে বিকাশ এর প্রতিনিধিরা ২৪ ঘন্টা সক্রিয় রয়েছেন।

বিকাশ গ্রাহক সেবা হেল্পলাইন নাম্বার (Bkash Helpline Number) কোনটি?

বিকাশ গ্রাহক সেবা হেল্পলাইন নাম্বার (Bkash Helpline Number) : ১৬২৪৭

বিকাশ লাইভ চ্যাট  করবো কিভাবে?

বিকাশ লাইভ চ্যাটের মাধ্যমে আপনার প্রয়োনীয় সেবা উপভোগ করতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত যাবতীয় সমস্যা সমাধানে লাইভ চ্যাট ব্যাপক কার্যকর। বিকাশে লাইভ চ্যাট করতে এই লিংক এ ক্লিক করুন। ওয়েবপেজটি সফলভাবে লোড হলে ডানপাশে নিচে লাইভ চ্যাট অপশনে ক্লিক করুন।

বিকাশ অ্যাপ (Bkash App) ডাউনলোড করবো কিভাবে?

বিকাশ এর জন্য অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস এ অ্যাপ রয়েছে। প্লে স্টোরে এবং অ্যাপ স্টোরে বিকাশ অ্যাপ লিখে সার্চ করলে অ্যাপটি পেয়ে যাবেন। এছাড়াও এই লিংক এ ক্লিক করেও আপনার স্মার্টফোনের জন্য বিকাশ অ্যাপটি ডাউনলোড করতে পারবেন।

পিসির জন্য বিকাশ অ্যাপ (Bkash App for PC) আছে কি?

পিসির জন্য বিকাশ এর কোনো অ্যাপ নেই। তবে অনলাইন পেমেন্ট পিসি দিয়েও করা যায়।

বিকাশ সার্ভিস চার্জ (bkash service charge)

বিকাশ সার্ভিস চার্জ  হিসেবে করতে এই লিংক এ ক্লিক করুন।

বিকাশ অ্যাকাউন্টের সুবিধা কি কি?

ডিজিটাল লেনদেনের ক্ষেত্রে বিকাশ সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দিয়ে থাকে। নিচে বিকাশ অ্যাকাউন্টের সকল সুবিধা আলোচনা করা হলো:

বিকাশ সেন্ড মানি (Bkash Send Money)

একজন পার্সোনাল বিকাশ অ্যাকাউন্টের গ্রাহক যেকোনো পার্সোনাল বিকাশ অ্যাকাউন্টের গ্রাহককে যেকোনো সময়ে টাকা আদান-প্রদান করতে পারবে। তবে কিছু শর্তে বিকাশ সেন্ড মানিতে চার্জ কাটে। 

বিকাশ সেন্ড মানি চার্জ (Bkash Send Money Charge)

বিকাশ-এ ৫টি প্রিয় নাম্বারে সেন্ড মানিতে প্রতিমাসে মোট ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সেন্ড মানি ফ্রি। এছাড়া যেকোনো নাম্বারে ১০০ টাকা পর্যন্ত সেন্ড মানি একদম ফ্রি। প্রতিমাসে প্রিয় নাম্বার ছাড়া অন্য যেকোনো নাম্বারে ১০১ টাকা থেকে ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সেন্ড মানি’র ক্ষেত্রে ৫ টাকা চার্জ প্রযোজ্য হবে
প্রতিমাসে প্রিয় নাম্বার ছাড়া অন্য যেকোনো নাম্বারে ২৫,০০০ টাকার বেশি যেকোনো পরিমাণ সেন্ড মানি’র ক্ষেত্রে ১০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য হবে।

বিকাশ মোবাইল রিচার্জ (Bkash Mobile Recharge)

বিকাশ থেকে যেকোনো অপারেটরে নাম্বারে মোবাইল রিচার্জ করা যায় খুব সহজে। এ ক্ষেত্রে বিকাশ কোনো প্রকারের চার্জ রাখে না। 

বিকাশ ক্যাশ আউট (Bkash Cash Out)

আপনার পার্সোনাল বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে এজেন্টের নাম্বারে অথবা নির্দিষ্ট এটিএম বুথ থেকে যেকোনো সময়ে ক্যাশ আউট করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে নির্দিষ্টি পরিমান চার্জ দিতে হবে।

বিকাশ ক্যাশ আউট চার্জ (Bkash Cash Out Charge)

এজেন্ট থেকে ক্যাশ আউট চার্জ (Cash out charges from agents)

প্রিয় এজেন্ট নাম্বার সেট করা গ্রাহকরা ঐ নির্দিষ্ট এজেন্ট থেকে প্রতি মাসে ৫০,০০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশ আউট চার্জ ১৪.৯০ টাকা। আর অন্য এজেন্টে ক্যাশ আউট চার্জ হাজারে ১৮.৫০ টাকা।

এটিএম থেকে ক্যাশ আউট চার্জ (Cash out charges from ATMs)

নির্দিষ্ট এটিএম বুথ থেকে ক্যাশ আউট করা যায় কম খরচে। বিকাশ অ্যাপ ব্যবহার করে অথবা *২৪৭# ডায়াল করে গ্রাহকেরা যেকোনো ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এবং Q-Cash এটিএম বুথ থেকে ক্যাশ আউট করতে পারবে হাজারে ১৪.৯০ টাকা চার্জে।

বিকাশ মার্চেন্ট পেমেন্ট (Bkash Merchant Payment)

আপনার অনলাইন-অফলাইন যেকোনো কেনাকাটায় বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে পারবেন খুব সহজেই। বিকাশের মাধ্যমে দেশজুড়ে ৪৭,০০০-এর বেশি দোকানে কেনাকাটার পেমেন্ট বিকাশ করতে পারবেন। অনলাইন বা অফলাইনে কেনাকাটার পেমেন্টে অনেক সময়ে বিশেষ ছাড় বা ক্যাশ ব্যাক পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা।

বিকাশ পে বিল (Bkash Pay Bill)

আপনার বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ইন্টারনেট, টেলিফোন, টিভি, ক্রেডিট কার্ড বিল অথবা যেকোনো সরকারি ফি পরিশোধ করতে পারবেন খুব সহজেই বিকাশ এর মাধ্যমে। 

বিকাশ সেভিংস (Bkash Savings)

সপ্তাহে কিংবা মাসে, বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকে টাকা জমানোর ব্যবস্থা করেছে বিকাশ। কোনো কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, আইডিএলসি ফাইন্যান্স ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এ প্রতি সপ্তাহে অথবা মাসে ২৫০ টাকা থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ডিপিএস খোলার ব্যবস্থা করেছে বিকাশ। ৬ মাস থেকে ৪ বছর মেয়াদী ডিপিএস এর টাকা মেয়াদ শেষে মুনাফাসহ ক্যাশ আউট করতে পারবেন কোনো চার্জ ছাড়াই। 

বিকাশ মোবাইল ব্যাংকিং লোন (Bkash Loan)

কোনো কাগজপত্র ছাড়া মুহূর্তেই লোন নেওয়ার সুবিধা রয়েছে বিকাশ এ। এই লোন সুবিধার আওতায় একজন গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ দিয়ে সিটি ব্যাংক থেকে ৫০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত লোন গ্রহণ করতে পারবেন। একজন গ্রাহক একবারে একটি লোনই নিতে পারবেন। গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে এই লোনের টাকা জমা হবে এবং বিকাশ একাউন্ট থেকে গ্রাহক এই লোনের টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। ঋণ প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী, সিটি ব্যাংক নির্দিষ্ট বিকাশ গ্রাহকদের এই লোন সুবিধা প্রদান করবে।

নগদ থেকে বিকাশ (Nagad to Bkash) অথবা বিকাশ-নগদ (Bkash Nagad) টাকা ট্রান্সফার

বিকাশ থেকে নগদ এ কিংবা নগদ থেকে বিকাশ এ সরাসরি টাকা ট্রান্সফার করা যায় না। তবে আপনার বিকাশ অথবা নগদ অ্যাকাউন্ট থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করে সেখান থেকে বিকাশ অথবা নগদ এ টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। এছাড়াও বিনিময় অ্যাকাউন্টের মাধ্যমেও টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন। 

বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার (Bkash to Bank Transfer) করা যায়?

বিকাশ অ্যাপ থেকে ব্যাংক-এ টাকা পাঠানো যায় খুব সহজেই। তালিকাভুক্ত কিছু ব্যাংকের একাউন্টে টাকা পাঠাতে পারবেন কোনো কাগজপত্রের ঝামেলা ছাড়াই। তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো হলো : অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, সোনালী ব্যাংক পিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, এবি ব্যাংক পিএলসি, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক পিএলসি, কমিউনিটি ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ণ ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি, মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেড, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক পিএলসি। 

বিকাশ থেকে ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার চার্জ (Bkash to Bank Transfer Charge) কত?

ব্যাংক ভেদে সার্ভিস চার্জ সর্বোচ্চ ১.২৫%।

বিকাশ টু ব্যাংক (Bkash to Bank) কিভাবে করবেন ?

বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে লগ ইন করুন। বিকাশ টু ব্যাংক আইকনা ক্লিক করুন। আপনি যে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে চান সেই ব্যাংকটি সিলেক্ট করুন। ব্যাংক একাউন্টের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো দিন। টাকার পরিমান দিন ও লেনদেনের একটি রেফারেন্স দিন। আপনার বিকাশ পিন দিয়ে লেনদেনটি সম্পন্ন করুন।

ব্যাংক থেকে বিকাশ এ টাকা ট্রান্সফার (Bank to Bkash Money Transfer)

আপনি ইন্টারনেট ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ কাস্টমার অ্যাকাউন্টে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারবেন মুহূর্তেই। ব্যাংক থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবহার করে বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠানোর জন্য প্রথমে আপনাকে বেনিফিশিয়ারি হিসেবে বিকাশ একাউন্ট অ্যাড করতে হবে এবং তারপর ফান্ড ট্রান্সফার করতে হবে। তালিকাভুক্ত কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ এ টাকা পাঠাতে পারবেন।

ব্যাংক থেকে বিকাশ এ টাকা ট্রান্সফার চার্জ (Bank to Bkash Transfer Charge) কত?


বিকাশ অ্যাপ থেকে ব্যাংক টু বিকাশ-এ কোনো চার্জ নেই

বিকাশ থেকে ক্রেডিট কার্ডের পেমেন্ট এর চার্জ (Bkash to credit card payment charge) কত?


মাসে ৪৯,৯৯৯.৯৯ টাকা পর্যন্ত ক্রেডিট কার্ড বিল প্রতি পেমেন্টে ১.৪৯% বা ১০০ টাকা চার্জ প্রযোজ্য (যে চার্জ সর্বনিম্ন)। মাসে সর্বমোট ৫০,০০০ টাকা বা তার বেশি বিল পেমেন্টে ১.৪৯% (প্রতি পেমেন্টে) চার্জ প্রযোজ্য।


বিকাশ রেমিটেন্স (Bkash Remittance)


প্রবাসীরা বিদেশ থেকে দেশে প্রিয়জনের বিকাশ একাউন্টে নিরাপদে ও সহজে টাকা পাঠাতে পারবে কোনো ঝামেলা ছাড়াই। অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংক, মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন (এমটিও) এবং মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর মাধ্যমে বৈধ উপায়ে টাকা পাঠানো যায় বিকাশ এর মাধ্যমে। আনলিমিটেড টাকা পাঠানো যায় এবং এর সাথে প্রাপক ২.৫% সরকারি প্রণোদনা পায়। আর রেমিটেন্সের টাকা ক্যাশ আউট করতে পারবেন ৭ টাকা/হাজারে এটিএম থেকে।

কিভাবে বিকাশ দিয়ে রেমিট্যান্স এর টাকা পাঠাবেন?

বর্তমানে ৫২টি দেশের মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান থেকে নিজ বিকাশ একাউন্টে টাকা এনে দেশে থাকা প্রিয়জনের নাম্বারে সেন্ড মানি এবং মোবাইল রিচার্জ করতে পারবেন। তবে বিদেশ থেকে বিকাশ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার জন্য একজন বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্রধারী গ্রাহক তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বসবাসরত দেশের মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাউন্ট খুলতে হবে।

আন্তর্জাতিকভাবে বিকাশ দিয়ে টাকা ট্রান্সফার (Bkash international money transfer)


তালিকাভুক্ত মানি এক্সচেঞ্জ/ব্যাংকসমূহ থেকে বিকাশে টাকা উত্তোলনের সুবিধা রয়েছে। বর্তমানে ৫২টি দেশের মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠান থেকে বিকাশ এ লেনদেন করা যায়। নিচে কয়েকটি নিয়ে আলোচনা করা হলো।

বিদেশে বিকাশ একাউন্টে টাকা আনবেন যেভাবে-
i) মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানের দোকান বা অ্যাপ এ যান
ii) প্রয়োজনীয় তথ্য দিন
iii) আপনার বিকাশ একাউন্ট নাম্বার দিন
iv) যত টাকা পাঠাতে চান সেই টাকার পরিমাণ দিন
রেমিটেন্সের টাকা সরকারি বোনাস হাজারে ২৫ টাকা সহ জমা হয়ে যাবে আপনার বিকাশ একাউন্টে। পরবর্তীতে দেশে থাকা আপনার প্রিয়জনকে সেন্ড মানি করে টাকা পাঠাতে পারবেন।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশ (payoneer to bkash transfer)এ টাকা ট্রান্সফার করে কিভাবে?


ফ্রিল্যান্সিংয়ের টাকা পেওনিয়ার থেকে বিকাশ-এ আনা যায় খুব সহজেই এবং খুব দ্রুত। আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট খুলে না থাকলে একটি পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট খুলে নিন। পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট খোলার পর নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে পেওনিয়ার থেকে বিকাশ এ টাকা ট্রান্সফার করতে পারবেন।
i ) বিকাশ অ্যাপে প্রবেশ করে রেমিটেন্স এ ক্লিক করুন।
ii) পেওনিয়ার অপশনে ক্লিক করুন। আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট লিংক করুন এ ক্লিক করুন।
iii) আপনার পেওনিয়ার অ্যাকাউন্টে লগইন করুন। সব কিছু ঠিক থাকলে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট লিংক হয়ে যাবে।
iv) পরবর্তীতে যেকোনো সময়ে পেওনিয়ার অ্যাকাউন্ট থেকে খুব সহজেই টাকা বিকাশ এ তুলতে পারবেন।

পেওনিয়ার থেকে বিকাশ এ টাকা ট্রান্সফারের চার্জ (payoneer to bkash charge) কত?


পেওনিয়ার থেকে বিকাশ-এ টাকা উত্তোলনের সর্বনিম্ন লিমিট এক লেনদেনে ১,০০০ টাকা ও সর্বোচ্চ লিমিট ২,৫০,০০০ টাকা। পেওনিয়ার থেকে বিকাশ-এ প্রতিবার টাকা উত্তোলনের সময়ে লেনদেনের মোট এমাউন্টের উপর ২% ফি চার্জ করবে পেওনিয়ার। এ ক্ষেত্রে বিকাশ আলাদা কোনো চার্জ করবে না। তবে বিকাশ থেকে ক্যাশ আউট করতে সাধারণ নিয়মেই বিকাশ চার্জ প্রযোজ্য হবে।

বিকাশ থেকে স্ক্রিল (bkash to skrill) অ্যাকাউন্টে ডলার কিনবেন কিভাবে?

বিকাশ দিয়ে স্ক্রিল অ্যাকাউন্টে ডলার কিনার সরাসরি কোনো ব্যবস্থা এখন পর্যন্ত হয়নি। তাই থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট থেকে বিকাশের মাধ্যমে স্ক্রিল অ্যাকাউন্টে ডলার কিনতে পারবেন।

স্ক্রিল থেকে বিকাশ (skrill to bkash) এ টাকা উত্তোলন করে কিভাবে?

আপনার স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ এ সরাসরি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। উইথড্র অপশনে মোবাইল ওয়ালেট সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বিকাশ এ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন মুহূর্তেই। 

ওয়াইজ থেকে বিকাশ (wise to bkash) এ টাকা উত্তোলন করবেন কিভাবে?


সরাসরি ওয়াইজ অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ এ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। ওয়াইজ অ্যাকাউন্টে রিসিপেন্টস অপশনে গিয়ে কারেন্সি হিসেবে বিডিটি সিলেক্ট করতে হবে। পরবর্তীতে বিকাশ অ্যাকাউন্ট সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে দিয়ে টাকা ট্রান্সফার কমপ্লিট করতে পারবেন।

নেটেলার থেকে বিকাশ (neteller to bkash) এ টাকা উত্তোলন করে কিভাবে?


আপনার নেটেলার অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ এ সরাসরি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। উইথড্র অপশনে মোবাইল ওয়ালেট সিলেক্ট করে বিকাশ বাংলাদেশ সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বিকাশ এ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন মুহূর্তেই।

বিকাশ থেকে পেপ্যাল (bkash to paypal) অ্যাকাউন্টে কি টাকা লেনদেন করা যায়?


পেপ্যাল এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে অফিসিয়ালি আসে নি। তাই সরাসরি পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট থেকে কোনো লেনদেন করা যায় না। তবে আপনার যদি পেপ্যাল অ্যাকাউন্ট থাকে তাহলে থার্ড পার্টি মাধ্যমে বিকাশ এর মাধ্যমেও লেনদেন করা যায়।

এয়ারটিএম থেকে বিকাশ (airTM to bkash) এ টাকা উত্তোলন করে কিভাবে?

আপনার স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট থেকে বিকাশ এ সরাসরি টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। প্রথমে মেনু অপশনে গিয়ে পেমেন্ট মেথডে বিকাশ অ্যাকাউন্ট অ্যাড করতে হবে। পরবর্তীতে উইথড্র অপশনে বিকাশ সিলেক্ট করে প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বিকাশ এ টাকা উত্তোলন করতে পারবেন মুহূর্তেই।

Go to Top

Leave a Comment